আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Jun 30, 2022
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধে থেকেই জলের স্রোত বাঁধে ধাক্কা মারতে শুরু করে। রাতে বাঁধের অনেকটা অংশ বসে যায়। স্থানীয়রা বুঝতে পারেন, নদী পাড়ের নিচের অংশ কাটছে। এতে যেকোনো সময় বিশাল ভূখণ্ড নদীতে তলিয়ে যেতে পারে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, নদী বাঁধে ফাটল ধরেছে। আর ভাঙন রোধের কাজ শুধু বর্ষার সময় শুরু হয়। ভাঙন রোধের কাজ ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই বাঁধে ফাটল ধরেছে। ভূতনি ব্রিজের পিলারের জন্যই নদীর স্রোত এই অংশের পাড়ে ধাক্কা মারছে। বস্তার কাজ করে এই বাঁধ বাঁচানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না। এই এলাকা ছেড়ে সকলকে চলে যেতে হবে।
এলাকার বাসিন্দা তথা সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহা জানান, সিপিএম গত কয়েকবছর ধরেই বলছে, বাঁধ বাঁচাতে স্থায়ী কাজ করতে হবে। ১০ টাকার বালির বস্তা ফেলে ৬৫ টাকার বিল করে বাঁধ বাঁচানো যাবে না। প্রশাসনের অপদার্থতার জন্যই মানুষ আজ বিপন্ন। আর রাজ্য সরকার খেলা-মেলায় ব্যস্ত। মালদার মতো ভাঙন কবলিত এলাকায় চলছে মাটি, মাটি টাকার খেলা।
[ আরও খবরঃ চাকরির নামে বিপুল টাকা প্রতারণা, তদন্তে পুলিশ ]
এদিকে, ভাঙনের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হচ্ছে এমনই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় মানিকচক বিজেপি নেতৃত্ব। আজ দুপুরে মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে চলতে থাকে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। পুলিশি পদক্ষেপে পরে অবরোধ উঠে যায়।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন