আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Dec 1, 2017

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য স্বাগত সেন

Updated: Feb 25, 2023

কাজে যোগদান করেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য স্বাগত সেন জানালেন ‘আমি মূলত শিক্ষক৷ তাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা৷’ নতুন উপাচার্যকে মাত্র ৬ মাসের জন্য এই পদে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার৷ এই স্বল্প সময়ে তিনি কতটা কাজ করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দিহান জেলা শিক্ষা মহলের একাংশ৷

সহকারী উপাচার্য হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্বাগতবাবুর৷ তাঁকেই চূড়ান্ত ডামাডোলের মধ্যে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার৷ এদিন তিনি বলেন, তাঁকে মাত্র ৬ মাসের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে৷ এই অল্প সময়ের মধ্যে দীর্ঘকালীন কোনও পরিকল্পনা নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ তবে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যাই তাঁর কাছে প্রাধান্য পাবে৷ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় মালদার গর্ব৷ এই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে ভারতবর্ষের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠতে পারে তার জন্য তাঁর সবসময়ই লক্ষ থাকবে৷ সমস্যা রয়েছে৷ তবে প্রথমদিন এসেই সব সমস্যা বুঝে ওঠা মুশকিল৷ এখনও তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি৷ তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে শুনেছেন৷ এখানে তিনি সেমিনারে যোগ দিতেও এসেছেন৷ কিন্তু তিনি নিজের চোখে কিছু দেখেননি৷ তাই তাঁকে আগে সব কিছু দেখতে হবে৷

নয়া উপাচার্য বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, সব সমস্যারই সমাধান হয়৷ তবে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সব সমস্যার দীর্ঘকালীন সমাধান হয় না৷ তাই তিনি নীচু স্তর থেকে সমস্যার সমাধান করতে চান৷ তাই তিনি চান, সর্বস্তরে নীচ থেকে সমাধানসূত্র উঠে আসুক৷ সবাই তাঁকে সাহায্য করুক৷ সেই সব সূত্র নিয়ে কাজ করলে সমাধানসূত্র নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে৷ সবার সম্মিলিত চেষ্টাতেই কোনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়৷ উপাচার্যের ভূমিকা হল, সবার ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করা৷ তিনি জানেন, এখানে অনেক পদে স্থায়ী নিয়োগ হয়নি৷ সেই সব পদে স্থায়ী নিয়োগ তাঁর প্রথম লক্ষ৷ এনিয়ে তিনি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন৷ তা না হলে আধিকারিকদের অসম্ভব চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে৷

স্বাগতবাবু জানিয়েছেন, এদিনই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নথিপত্র দেখবেন বলে স্থির করেছেন৷ সবাই তাঁকে হতাশা ও নৈরাজ্যের কথা বলছেন৷ তাঁর মনে হয়, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই নতুন কিছু উঠে আসে৷ তিনি সেই আশাই করেন৷ তিনি জানেন না আসলে কী হয়েছে৷ সেসব নিয়ে তদন্ত চলছে৷ সম্প্রতি স্নাতকস্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের প্রকাশিত ভুলে ভরা ফলাফল নিয়েও ওয়াকিবহাল উপাচার্য৷ তিনি বলেন, এনিয়ে তিনি এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজামিনেশন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন৷ পড়ুয়াদের অভিযোগ শুনবেন৷ কারণ, প্রকাশিত ফলে ভুল থাকা উচিত নয়৷ সামান্য কিছু ভুলভ্রান্তি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও কখনও কখনও হয়ে থাকে৷ কিন্তু তিনি যা শুনেছেন, তাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুল বিশাল৷ সেক্ষেত্রে যথাযথ তদন্ত হবে৷ স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে শুধুমাত্র আরবি ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে বলে তাঁকে জানানো হয়েছে৷ কেন আরবিতে এখনও কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হয়নি সেটা তিনি দেখছেন৷

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন