অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত
Nov 7, 2019
Updated: Feb 24, 2020
হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচল থানা ভেঙে আরও দুটি থানা তৈরি করা হবে৷
জেলা পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৮ সালে অর্ণব ঘোষ পুলিশ সুপার থাকাকালীন এই জেলায় দ্বিতীয় একটি পুলিশ জেলা তৈরির প্রস্তাব রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল৷ দ্বিতীয় পুলিশ জেলা গঠনের কারণ হিসাবে মালদা জেলার ১৭২ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়৷ তার সঙ্গে উল্লেখ করা হয় জেলার জনসংখ্যার বিষয়টিও৷ মালদা জেলায় মহকুমা দুটি, মালদা সদর ও চাঁচল৷ এরমধ্যে চাঁচল মহকুমার থানাগুলি হল, হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া ও পুখুরিয়া৷ পরবর্তীকালে জেলায় থানার সংখ্যা ৯টিতে নিয়ে যাওয়া হবে৷ হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচল থানা ভেঙে আরও দুটি থানা তৈরি করা হবে৷ তার সঙ্গে সামসী ফাঁড়িকেও থানায় উন্নীত করা হবে৷
এখন বিতর্ক তৈরি হয়েছে মালদা শহরের নিকটবর্তী মানিকচক ও ভূতনী থানাকে ঘিরে। এই দুই থানা চাঁচল পুলিশ জেলার অধীনে থাকলে দূরত্বের কারণে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছে জেলা পুলিশের একাংশ৷ এবিষয়ে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু বলেন, তিনি মালদা জেলায় আসার আগেই এই প্রস্তাব নবান্নে পাঠানো হয়েছিল। এখন এই বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সীমান্ত এলাকায় কিছু নতুন থানা গঠন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে মালদায়৷ কারণ, সীমান্তে বিএসএফ মোতায়েন থাকলেও তারা সমাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারে না৷ সেই দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হয়৷ সেক্ষেত্রে সীমান্ত এলাকায় ছোটো ছোটো এলাকাবিশিষ্ট থানা তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের পক্ষে অনেকটা সহজ হয়৷
শুধু মালদাতেই নয়, ডিসেম্বর মাসে মুর্শিদাবাদ জেলাতেও তিনটি পুলিশ জেলা গঠিত হতে চলেছে৷ জেলা পুলিশ সূত্রে সেই খবরও পাওয়া গেছে৷