আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Aug 2, 2021

মেলেনি কোনও সাহায্য, পাঁচ বছর ধরে শিকলবন্দি যুবক

প্রায় পাঁচ বছর ধরে শিকলবন্দী। শেকলের ঘষা খেতে খেতে ঘা হয়েছে পায়ে। এভাবেই দিন কাটছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ভালুকা গ্রামপঞ্চায়েতের মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের। পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবকের চিকিৎসার জন্য বিধায়ক, জেলাপরিষদ সদস্যকে বহুবার বলার পরেও ঘুরে তাকাননি কোনও জন-প্রতিনিধি। মেলেনি যুবকের প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ওই পরিবার।

মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকের নাম সেলিম আখতার (১৯)। সেলিমের দাদা হারুন রশিদ এবং মা লাইলি বিবিও মানসিক ভারসাম্যহীন। গত কয়েকবছর ধরে নিখোঁজ তাঁরা। বাবা জাকির হোসেন, ছোটো ভাই আসিফ দুইজনেই দিনমজুর। পরিবারের দাবি, ২০১৭ সালের বন্যায় তাঁদের ঘর ভেসে গিয়েছে। ধার দেনা করে মাটির চালাঘর করেই আপাতত দিন কাটছে তাঁদের। পরিবারের একমাত্র জাকির সাহেবের রেশন কার্ড রয়েছে। সেই কার্ডের রেশন দিয়েই চলছে পুরো পরিবার। ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তাঁরা। ছেলের চিকিৎসার জন্য পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেও কোনও ফল মেলেনি। এমনকি ছেলের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পর্যন্ত মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তাঁরা।

[ আরও খবরঃ লাল জামরুল, মাল্টা সহ বেশ কিছু ফল চাষের উদ্যোগ মালদায় ]

এদিকে, বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে বিঁধেছে কেন্দ্রের শাসকদল। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নিজেদের গরিবের সরকার বলে প্রচার করলেও আসল ছবিটা এভাবেই বারবার সামনে আসছে। আসলে তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। তৃণমূলের পালটা দাবি, বিষয়টি নিয়ে দলের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্নীতি বিরোধী গরীবের স্বার্থের সরকার। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন