আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Jun 9, 2020

মোটা টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

Updated: Aug 10, 2020

জেলার এক পুলিশের মোটা অংকের টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাঁচল থানার এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শাসকদলের এক নেতা। এমনকি যে অফিসারের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিককে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য তিনি কিছু বলবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এদিকে শাসকদলের এক নেতাকে হুমকি দিয়ে পুলিশ অফিসারের টাকা চাওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই জেলা জুড়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক।

গত এক মাস আগে মরা সাপের গন্ধ ছড়ানো নিয়ে চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের মকদুমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের আশিনপুর গ্রামে কয়েকজনের মধ্যে বচসা হয়। এই বচসা পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়, জানালেন গ্রামবাসীরা। এরপর দুই পক্ষ পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘটনার তদন্তকারী অফিসার অনিমেষ কর্মকারকে ফোন করে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা জানতে চান স্থানীয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি মেরাজুল ইসলাম। মেরাজুল এদিন বলেন, আমরা একটি অভিযোগ জানিয়েছিলাম। আইও অনিমেষবাবুকে ফোন করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার বিষয়টি জানতে চাই। তখন তিনি বলেন, আমাদের আট তৃণমূল কর্মীর নামেও পালটা মামলা হয়েছে। এরপর থানায় ডেকে অফিসার পরিষ্কার বলেন, ঘুষ না দিলে কাজ হবে না। বিপক্ষের কাউকে গ্রেফতারও করা হবে না। বরং টাকা না দিলে তৃণমূলের আটজনকেই গ্রেফতার করা হবে। এরপর অনিমেষবাবুর কথায় একপ্রকার চাপে পড়ে থানায় গিয়ে অনিমেষবাবুর হাতে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে আসি। তার একজন সাক্ষীও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তিনি কাউকে গ্রেফতার করেননি।

করোনা আবহে ঝুঁকি নিয়ে পুলিশকর্মীরা কাজ করছেন। কিন্তু চাঁচল থানার অনিমেষ কর্মকার নামে ওই অফিসার যেভাবে গ্রেফতারির হুমকি দিয়ে ঘুষ আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেক্ষেত্রে তৃণমূলের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ পুলিশকর্মীদেরও একাংশ। টাকা চাওয়ার অভিযোগ পেয়েই ওই অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

চাঁচলের তৃণমূল নেতা তথা জেলাপরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম বলেন, ঝুঁকি নিয়ে পুলিশকর্মীরা করোনার মধ্যে কাজ করছে। কিন্তু ওই অফিসার আখেরে রাজ্য সরকারের বদনাম করছেন। আমরা চাই, তদন্ত করে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।