আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Aug 9, 2021
ওই গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী পাল অসুস্থ। উচ্চ রক্তাচাপ, হাই ব্লাড সুগার সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত তিনি। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে অন্যত্র রয়েছেন। গতবারই নদীর ভাঙনে বাড়ির একাংশ ধসে গিয়েছে। ঋণ নিয়ে একটি শৌচাগার বানিয়েছিলাম। সেটিও ধসে গিয়েছে। অথচ তার ঋণ এখনও পরিশোধ করতে পারিনি। মাসখানেক ধরে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা সবাই ধারদেনা করে এক লরি বালি কিনেছিলাম। সেই বালিও এখন নদীগর্ভে। রাতে ভয়ে ঘুম হয় না। গোটা ঘটনা এসডিও অফিসে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। গতবার প্রশাসন খানিকটা কাজ করেছিল। এবার কিছুই করেনি।
নালাগোলা মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বাসুদেব চক্রবর্তী বলছেন, গতবার লক্ষ্মী পাল ও ফণীন্দ্রনাথ মণ্ডলের বাড়ির অনেকটা অংশ ভেঙে যায়। সেই সময় সেচ দপ্তর ভাঙন রোধের সামান্য কাজ করে। কিন্তু কোনও স্থায়ী কিছু কাজ করে। আমরা স্থায়ী কাজ চেয়েছিলাম। এবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। বেশ কিছু বাড়ি বিপদের মুখে। আমরা সাংসদ খগেন মুর্মু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ফান্ড নেই। একজন সাংসদের মুখে একথা মানায় না। আমি সেচ দপ্তরের কাছে এই বাড়িগুলি বাঁচানোর আবেদন জানাচ্ছি।
ক্যান্সার আক্রান্ত ফণীন্দ্রনাথ মণ্ডল চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ে রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ছেলেও। বাড়িতে রয়েছেন শুধু তাঁর স্ত্রী দুর্গা মণ্ডল। আতঙ্কে কেঁদেই চলেছেন তিনি। জানালেন, আমি আর কিছু চাই না। শুধু আমার বাড়িটা বাঁচিয়ে দেওয়া হোক। আমার আর কিছু নেই। পাঁচ টাকাও ব্যাংকে নেই। আগের বছরই বাড়ির একাংশ ধসে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বাড়িটাই ধসে যেতে পারে। ভয়ে রাতে ঘরে ঘুমোতে পারি না। আমাদের কী এভাবেই সব হারাতে হবে?
[ আরও খবরঃ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরিতে একাধিক আবেদন, তদন্তে পুলিশ ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন