অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত
Feb 15, 2020
Updated: Feb 26, 2020
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে গ্রামের চারজন সফিকুল ইসলাম (৬), মহম্মদ ফিরোজ (৮), কোহিনুর খাতুন (৭) ও শাবনুর খাতুন (৩) বাড়ির পাশের মাঠে খেলা করছিল। হঠাৎ চারজন অসুস্থ বোধ করে। ওই শিশুদের অভিভাবকরা তাদের স্থানীয় ওঝা রফিক শেখের কাছে নিয়ে যান। সেখানে চলতে থাকে ঝাড়ফুঁক। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ওই শিশুদের রাত ১২টা নাগাদ মালদা মেডিকেল কলেজ নিয়ে আসা হয়। পথেই মৃত্যু হয় ফিরোজের। মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মৃত্যু হয় সফিকুলের। বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন কোহিনূর ও শাবনুর।
গতকাল বিকেলে বাড়ি ফিরে আসার পরেই অজ্ঞান হয়ে যায় তাঁর ছেলে৷ সঙ্গে সঙ্গে ঘরে নিয়ে এসে শরীরে তেল মাখানো হয়। একসময় ছেলের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়৷ এরপরেই ফিরোজকে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ছেলের শরীর আরও খারাপ হতে থাকায় ছেলেকে মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পথেই মৃত্যু হয় ছেলের।
মালদা মেডিকেল কলেজের এমএসভিপি অমিত দাঁ বলেন, গতকাল ওই শিশুরা হঠাৎ মাথা ব্যথা, পেট ব্যথার কথা বলেছিল অভিভাবকদের৷ কিন্তু অভিভাবকরা তাদের হাসপাতালে না এনে ঝাড়ফুঁক করান৷ এতেই অনেকটা সময় কেটে যায়৷ মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসার পথেই একজন মারা যায়৷ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকটি বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে৷ এখন দুটি বাচ্চা আপাতত সুস্থ রয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই এই ঘটনা।