আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Aug 16, 2019

ব্রিজ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী, তার আগে ফিতে কেটে বিতর্কে সভাধিপতি

Updated: Aug 14, 2020

৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসে ভুতনি ব্রিজের উদ্বোধন করে বিতর্কে জড়ালেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। অভিযোগ, ব্রিজ উদ্বোধনের বিষয়টি জানতেই পারলেন না প্রাক্তন বিধায়ক সহ জেলা প্রশাসন। গোটা ঘটনায় গৌরচন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র।

মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত ভুতনি চর গঙ্গা ও ফুলহর নদী দিয়ে ঘেরা। এই চরে তিন গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লক্ষাধিক মানুষের বাস। এতদিন ভুতনিবাসীদের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছিল নৌকা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ব্রিজের দাবি তুলে আসছিলেন ভুতনিবাসী। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ও মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের উদ্যোগে ভুতনি সেতুর কাজের শিলান্যাস হয়। বর্তমানে সেই কাজ প্রায় শেষের দিকে।

ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হওয়ার আগেই দলীয় কিংবা প্রশাসনিক নেতৃত্বকে কিছু না জানিয়ে ব্রিজ উদ্বোধনের অভিযোগ উঠল মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতে কেটে সাইকেল, মোটর সাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ির জন্য ব্রিজ উদ্বোধন করেন গৌরবাবু। ঘটনার প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ উগড়ে দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ভুতনি সেতুর উদ্বোধন করবেন সেটাই তিনি জানতেন। গৌরচন্দ্র মণ্ডল ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্রিজের উদ্বোধন করেছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিষয়টি জানতে পেরে তার কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন।

গতকাল গৌরবাবু জানিয়েছিলেন, আপাতত এই ব্রিজ সাইকেল, মোটর সাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি ব্যবহারের জন্য খোলা হচ্ছে। পরে মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সকলের জন্য এই ব্রিজের উদ্বোধন করবেন।

গতকালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নিজের জায়গা পাকা করতেই এই অকাল উদ্বোধন? নাকি শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন?