আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Jul 17, 2023

পণের দাবিতে খুনের অভিযোগ, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। ঘটনা ধামাচাপা দিতে, অভিযোগ না নেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের লোকেদের মেয়ের মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন। অবশেষে বিচার চেয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই পরিবার। কিন্তু পুলিশ সুপারের তরফেও এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে পরিবারের তরফে।

মৃত গৃহবধূর নাম রীনা সরকার (১৯)। বাড়ি গাজোলের হাড়িয়াকুড়ি গ্রামে। রীনা দেবীর বাবা যুগল সরকার পুলিশসুপারের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ২৮ জুন মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় বেগুনবাড়ি গ্রামের কনক চৌধুরির বিয়ে হয়৷ বিয়ের সময় নগদ ১ লক্ষ টাকা, সোনার গয়না সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র দিয়েছিলেন। বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই জামাই অতিরিক্ত ১ লক্ষ টাকা দাবি করতে থাকে৷ কোনোমতে ৬০ হাজার টাকা জামাইয়ের হাতে তুলে দেন তাঁরা৷ এরইমধ্যে তাঁর নাতির জন্ম হয়৷ বাকি টাকার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ে ও নাতিকে মেরে ফেলার হুমকি দিত৷ ৩ জুলাই সকালে রীনার শাশুড়ি ফোন করে তাঁদের জানান, রিনা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ তড়িঘড়ি তাঁরা সেখানে ছুটে গেলেও পুলিশ ও মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের মেয়ের মরা মুখটাও দেখতে দেয়নি৷ তাঁরা নিশ্চিত, রীনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে৷ পুলিশকে হাত করে রীনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে।

রীনাদেবীর মা দেবী সরকার বলেন,

জামাই ১ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল৷ ৬০ হাজার টাকা দেওয়াও হয়েছিল। জামাই মাঝেমধ্যেই হুমকি দিত, বাকি টাকা না দিলে মেয়ে আর নাতিকে গলা টিপে খুন করবে৷ অবশেষে ওরা গলা টিপে মেয়েকে মেরে ফেলে৷ থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নেয়নি৷ এমনকি পুলিশ আর বাড়ির লোক মেয়ের মরা মুখটুকু দেখতে দেয়নি৷ বিচার চেয়ে পুলিশসুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন