আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Apr 3, 2019

ক্লাসরুম নেই, খোলা আকাশের নীচে পড়াশোনা

Updated: Apr 10, 2023

একটার পর একটা ভোট মরশুম পেরিয়ে যায়। কিন্তু স্কুলের হাল আর ফেরে না। পুরাতন মালদার মুচিয়া অঞ্চলের সাধইল ছোটপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে খোলা আকাশের নীচে ছোটো ছোটো ছেলে-মেয়েদের ক্লাস করাটা।

নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে খোলা আকাশের নীচে ছোটো ছোটো ছেলে-মেয়েদের ক্লাস করাটা

বর্তমানে এই স্কুলে পড়ুয়া ১৮৬ জন৷ শিক্ষক, শিক্ষিকা মিলিয়ে আরও ৭ জন৷ বেশিরভাগ ছাত্র-শিক্ষকই খোলা আকাশের নীচে শিক্ষা আদান-প্রদানে ব্যস্ত। স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, স্কুলে মাত্র দুটো ক্লাসরুম৷ অফিস বলে কিছু নেই৷ কয়েক বছর আগে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা স্কুলে আসে৷ তখন তৎকালীন টিআইসি আমিন ডেকে জায়গা মাপার কাজ করেন৷ তখনই জানা যায়, এই জায়গাটি স্কুলের নয়৷ স্কুলের জায়গা রয়েছে অনেক ভিতরে৷ ১৯৭১ সালে যখন ভয়াবহ বন্যা হয়, তখন সেই স্কুল ডুবে যায়৷ তখন স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক এখানে একটি চালাঘর বানিয়ে স্কুল শুরু করেন৷ এখন স্কুলে দুটি ক্লাসরুম রয়েছে৷ ক্লাসের সংখ্যা ৫টি৷ ফলে তিনটি ক্লাসই বাইরে করাতে হয়৷ এতে বাচ্চাদের সঙ্গে তাঁদেরও সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷ বৃষ্টি হলে বাচ্চারা কোথায় বসবে, সেই চিন্তা শুরু হয়৷ প্রতিদিন ১০০ জনেরও বেশি পড়ুয়া স্কুলে আসে৷ ফলে ঝড়-বৃষ্টিতে কোনও বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায় তাঁদেরই নিতে হয়৷ তাঁরা শিক্ষা সংসদে বিষয়টি জানিয়েছেন৷ কিন্তু কাজ হয়নি৷

এবিষয়ে মালদা সার্কেল ইনস্পেকটর ভরত ঘোষ বলেন, মালদা চক্রের ৫৯টি স্কুলের মধ্যে এই স্কুলটিরই ভবনের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়৷ একটি অস্থায়ী ভবনে পার্টিশন দিয়ে দুটি ক্লাস বসে৷ আরেকটি পাকা ভবনে একটি ক্লাস হয়৷ ওই স্কুলে বাচ্চার সংখ্যাও প্রায় দেড়শো জন৷ শিক্ষকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, স্কুলের জায়গা নিয়ে একটু জটিলতা রয়েছে৷ কিছুটা জটিলতা মেটানো গেলেও এর আগে কেন সর্বশিক্ষা মিশন কিংবা বিডিও দপ্তর থেকে স্কুলের কোনও ভবন করা হয়নি তারও খোঁজ নিয়েছি৷ আগের বিডিও আমার কাছ থেকে স্কুলের নাম নিয়েছিলেন৷ স্কুলের জন্য নতুন ভবন বরাদ্দ হয়েছে কিনা তা এখনও জানতে পারিনি৷ এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

প্রতীকী ছবি।